বিজয় দিবসে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বিশেষ প্রার্থনানুষ্ঠান
আজ ১৬ ডিসেম্বর তেজগাঁর গির্জায় স্বাধীনতার গৌবরময় ৪৯ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এক বিশেষ প্রার্থনা ও আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় । তেজগাঁও ধর্মপল্লী, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আয়োজিত এই প্রার্থনা অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন তেজগাঁও ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার সুব্রত বি. গমেজ।
প্রার্থনানুষ্ঠানে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদানকারী জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও যাঁরা যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন, তাঁদের আত্মার কল্যাণে প্রার্থনা করা হয়। একই সাথে দেশ মাতৃকার সেবার জন্য শপথ বাক্য পাঠ করা হয় ।
আলোচনানুষ্ঠানে বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও যাঁরা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ও শহীদ হয়েছেন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, ‘এই দেশকে গড়ে তুলতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ’৭২-এর সংবিধানের মধ্য দিয়ে আমরা এক অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ পেয়েছি। সেই ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য এখনো অনেক সংগ্রাম ও লড়াই করতে হচ্ছে।’
বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের মহাসচিব হেমন্ত আই কোড়াইয়া বলেন, ‘আমরা খুব গর্বীত যে আমাদের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনো রাজাকার নাই। এ দেশে খ্রিষ্টান সম্প্রদায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও উন্নয়নমূলক কাজে বিরাট ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু আমরা সাম্প্রতিক সময়ে দেখতে পাচ্ছি একটি গোষ্ঠী ভাস্কর্য ও মূর্তিকে কেন্দ্র করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। আজকের দিনে আমরা প্রতিজ্ঞবদ্ধ হই, একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়বো ও দেশ গঠনে বরাবরের মতো ভূমিকা রাখবো।’
প্রার্থনানুষ্ঠানে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদানকারী জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও যাঁরা যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন, তাঁদের আত্মার কল্যাণে প্রার্থনা করা হয়। একই সাথে দেশ মাতৃকার সেবার জন্য শপথ বাক্য পাঠ করা হয় ।
আলোচনানুষ্ঠানে বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও যাঁরা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ও শহীদ হয়েছেন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, ‘এই দেশকে গড়ে তুলতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ’৭২-এর সংবিধানের মধ্য দিয়ে আমরা এক অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ পেয়েছি। সেই ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য এখনো অনেক সংগ্রাম ও লড়াই করতে হচ্ছে।’
বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের মহাসচিব হেমন্ত আই কোড়াইয়া বলেন, ‘আমরা খুব গর্বীত যে আমাদের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনো রাজাকার নাই। এ দেশে খ্রিষ্টান সম্প্রদায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও উন্নয়নমূলক কাজে বিরাট ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু আমরা সাম্প্রতিক সময়ে দেখতে পাচ্ছি একটি গোষ্ঠী ভাস্কর্য ও মূর্তিকে কেন্দ্র করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। আজকের দিনে আমরা প্রতিজ্ঞবদ্ধ হই, একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়বো ও দেশ গঠনে বরাবরের মতো ভূমিকা রাখবো।’
কারিতাস এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও কারিতাস বাংলাদেশের প্রাক্তন নির্বাহী পরিচালক ড. বেনেডিক্ট আলো ডি’রোজারিও সবাইকে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও জাহানারা ইমামের ‘একাত্তরের দিনগুলো’ বই দুটি পড়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘বিজয় দিবসে আমার এই আহ্বান আমরা যেন দেশ প্রেমিক হই, দেশকে ভালোবাসী। যাঁরা দেশকে ভালোবাসে না, তাঁরা তার মা-বাবা, ভাই-বোন, পরিবার ও সমাজকে ভালোবাসে না। ভালোবাসার উৎপত্তি দেশকে ভালোবাসার মাধ্যমে।’
অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন তেজগাঁও পালকীয় পরিষদের সদস্য রবি বার্নাড রোজারিও, এসোসিয়েশনের যুগ্ম মহাসচিব জেমস সুব্রত হাজরা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক থিওফিল রোজারিও, দপ্তর সম্পাদক স্বপন রোজারিও, এসোসিয়েশনের ব্রাক্ষণবাড়িয়া থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক মলয় নাথ, যাত্রাবাড়ি থানা শাখার প্রেসিডেন্ট এ যোসেফ দাস, মোহাম্মদপুর থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা ক্রেডিটের ডিরেক্টর পল্লব লিনুস ডি’রোজারিও, ঢাকা ক্রেডিটের ডিরেক্টর মনিকা গমেজ ও পাপিয়া রিবেরূ, সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য বার্নার্ড পংকজ ডি’রোজারিও, এসোসিয়েশনের মোহাম্মদপুর থানা শাখার নারী বিষয়ক সম্পাদক নিলু বিশ^াস, অ্যাডভোকেট শিপ্রা দাস ও পিটার বিশ^াস।
আলোচনানুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন তেজগাঁও ধর্মপল্লীর সহকারী পাল-পুরোহিত ফাদার আন্তনী রিপন ডি’রোজারিও।
সূত্র:ডিসিনিউজ