wb_sunny

Breaking News

শাহবাগে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সমাবেশ

শাহবাগে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সমাবেশ

ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হামলা-নির্যাতনের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।

শনিবার (৭ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর শাহবাগে সড়কে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে সংগঠনটি। আন্দোলনকারীরা জানান, সাম্প্রদায়িকতা বন্ধ করতেই তাদের এই প্রতিবাদ। ধর্ম অবমাননার দায়ে মুরাদনগরে মন্দির, বাড়িঘর ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট; পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের  বহিষ্কার ও গ্রেফতারসহ নানা ধরনের নির্যাতনের বিরুদ্ধে এই অবস্থান কর্মসূচি।



এ সময় ধর্ম অবমাননার দায়ে গ্রেপ্তারকৃত সংখ্যালঘু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিও জানান তারা।

সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রাক্তন রাষ্টদূত অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিককের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নির্মল রোজারিও,হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবেদ খান, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান এসোসিয়েশনের মহাসচিব ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া, এসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেমস সুব্রত হাজরা, নিপুন সাংমা, নিখিল মানখিন, এ যোসেফ দাসসহ আরো অনেক নেতৃবৃন্দ। অবস্থান কর্মসূচিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠন ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।

তারা শঙ্কা জানিয়ে বলেন, সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন বন্ধে সরকার ব্যর্থ হলে, দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হতে পারে। এ ছাড়াও সরকারকে ৭২-এর সংবিধানে ফিরে আসা এবং একই সাথে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ও জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠনেরও দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।

বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন যোসেফ সরকার, থিউফিল রোজারিও, যোসেফ স্বপন চৌধুরী, জন অরুনেশ বাড়ৈ, এলিয়াস পিন্টু কস্তা, অ্যাডভোকেট পলিনা রেবেকা গমেজ,মার্টিন অরুন হালদার, ভিক্টের রে, মলয় নাথ, শিপন রোজারিও, শিপু পি কস্তা, এস পিটার, এ উজ্জল, জুয়েল দাস ও যিহুদা দাস।

একই দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে সিলেট, বরিশাল, রংপুর, চট্টগ্রাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীতে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনসাধারণের উপর। বিভিন্ন নির্যাতন, লুটপাটের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বললেও দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় দারুন উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নির্যাতন বন্ধে স্থায়ী সমাধানকল্পে জাতীয় সংসদে সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত আসন, সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু-বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

সূত্র:ডিসিনিউজ

Android Apps on Google Play

Tags

Newsletter Signup

Sed ut perspiciatis unde omnis iste natus error sit voluptatem accusantium doloremque.

Ads